শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭

অনুমতিহীন থেকে গেলে


তুমি এখনো অনুমতিহীন থেকে গেলে-
হঠাতই গর্জনের মত অাছড়ে পড়লে
হুলস্থুল পড়ে অন্তরে।
.
কেমন স্বভাব! চোখ নিংড়িয়ে নামাও রাত,
ঠোঁট বরাবরে পদার্থের লিপিষ্টক,
সুদমুক্ত ঋণে জড়াও আমাকে- ফেক চাহনীতে,
অভ্যাস বশতঃ আমিও চির সবুজ থেকে যাই।
.
অনুমতিহীন মানুষ কেবল তুমিই হতে পারো-
দরজা সেঁটে দায়িত্ববান প্রহরী,
সেনাপতির মতোই বিস্তর প্রেমিকা,
বারুদ ঘেঁটে জন্ম নিলে প্রেমের-
তাতে কি এসে যায় ভুলের?
ভুল করেই ঢুকে পড়ো আমাতে!

.
আসলে তুমি এখনো অনুমতিহীনই থেকে গেলে।

লেখাঃ ১৮/৫/১৭ইং

শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

একটা ঘুম একটা ঘাম একটা একাত্তর


ঘুম থেকে উঠলেই ইদানিং চোখগুলো
দ্রুত বায়োস্কপ থেকে বেরিয়ে পড়ার মত 
আচনক খুলে ফ্যালে রাত,
ঘুমটা রাত্রীদের বায়োস্কপের মত।
অথবা জনাকীর্ণ দূপুরে সেঁটে থাকা স্বপ্নরোদ।
.
একটা বীজ খুব চেনা লাগা ধানের মত,
অন্য বীজটা হুতুমপেঁচার বাচ্ছা,
আমার ঘুমগুলো অচেনা একটা ধানরাত-
সবুজবাহী স্বপ্নের মতোন,
আর হুতুমপেঁচাকে ভয়াল ঘামের জননী বলে 
ডেকেছি এক সময়।
.
একটা সময় ভুলেই গিয়েছিলাম প্রশ্নটাঃ
আমার বেহাত হওয়া ঘুমগুলো 
পৌণে দু'টোর মধ্যেই ফিরে দেবে কিনা?
.
একটা নিশাচর ঘাম ভুল শুধরাতে আসেনা -
আসে ভয়কে লুকাতে।
.

                   আমার ঘুম                    
                   আমার ঘাম, 
           একাত্তরের দিনে ফিরে নেয়া 
            অন্য একাত্তর নয়তো? 
.
লেখাঃ ৬/৪/২০১৭ইং

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

এই সব কবিতা হতে পারতো



এই সব কবিতা হতে পারতো

দ্বীপ সরকার

কবিতা মানেই প্রেম বিরহ,সুখ দুঃখ,প্রকৃতি ;

অথচ একটা কথা বলতেই হয়
লাশকাটা ঘরের কোন প্রাণ নেই,
কারন,ওখানে অস্ত্রের যুক্তি চলে।
লাশ কাটার চাকু, কুড়াল,দা, ছুরি,
দূর্গন্ধময় নিঃশ্বাস,ভয়,
এই সবও কবিতা হতে পারতো-
তাকে যদি কবিতা ভেবে
সবুজ চাকু দেই
সবুজ কুড়াল দেই
এবং আলো বাতাস ভর্তি একটা ঘর দেই।

লেখাঃ ২৯/১২/২০১৬


সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

মানচিত্র ঘুমালে


মানচিত্র ঘুমালে
.
দ্বীপ সরকার
.

ঠিক উন্মুক্ত শরীর, বাদাম চেরা স্তন বেয়ে
আসা ক্লীব লিঙের আত্না, 
অসম্ভব ভয়ের বেড়াল ঝাঁপিয়ে পড়ে যেনো,
জড়বস্তুও আচনক খুলে ফেলে চোখ।
.
দয়িতার নাটকে ধর্মের জয় দেখে অধর্মের চোরাবালি কান্না,
আমরা গুটিকতক চিত্রানদীর জোসনা,
পালকহারা থৈ থৈ রাত্রীর সংসারে অতিথি পাখি,
জিব্রীলের ডানায় চরে মুখ লুকিয়ে আসা 
শামুক বড্ড উপার্জনমুখি প্রাণী মনে হচ্ছিলো -
কি সুন্দর ধীরে ধীরে ভিড় চিরে 
পথিক বেভুল যেমন চরাচরে।
.
এমনটাই ভাবি এখন। মানচিত্র ঘুমালে
এমন ভয়াল বেড়াল ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনা।
একাত্তরে যেমন মানচিত্রকে ঘুমাতে দেয়নি কেউ কেউ....
.
লেখা ৪/৩/১৬ইং



শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

গণতন্ত্র



গণতন্ত্র

দ্বীপ সরকার

ভোট দিতে পারিনি বলে
গণতন্ত্র আমার শত্রু নয়...

গণতন্ত্রকে পরাক্রমশীল বাঘ সন্দেহে
নিজেকে আটকে রাখি জালে
গণতন্ত্রের তেলেসমাতি চলে গেছে
পিঁপড়ের দলে।
আনুগত্যের গ্রাসে রাষ্ট্রযন্ত্র উবে গেছে
বৈরী জলবায়ুতে।

জনতা বুঝে গেছে
এরিষ্টটলের মদখেকো মতাদর্শ
তারচে
এসে এমনি এমনি হুমড়ি খেয়ে
আত্নহত্যার মদ পান করি।

লেখাঃ ০২/০৯/১৬ইং


বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭

সিজোফ্রেনিয়া শীত


বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে নেমে আসা দয়িতার শীত
দরিদ্রদের উঠোনে নামাচ্ছিলো কুয়াশার প্লেন,
আমি দারিদ্রতা ভুলে প্লেট ভর্তি শীতকে
সেঁক দিতে শুরু করি উনুনে।

সিমের মাচানে যে রৌদ্র সাংসারিক হচ্ছিলো
বলে আমি মনে করেছিলাম-
অক্ষরের সমীকরণে তাকে ভাবতেই পারি রোদ্দুরের ট্রেন,
ভাবতেই পারি রক্ষণশীল বুনো নক্ষত্র
গোধূলী নামাচ্ছে বলে
সে সন্ধ্যায় গেঁও প্রেমিক ইশারা বুঝেনি।

আমি প্রেমিক চাঁদকে ডেকেছিলাম আমার একান্তে....
অথচ শীতের ডোড়াকাটা বাঘ সিজোফ্রেনিয়া ছড়ালো
আমি আক্রান্ত শিকারীর মত বিশৃঙ্খল চিল।

লেখাঃ ২১/০১/১৭ইং


মেয়েটি এবং জোসনার রাত


ওম ফুরিয়ে শীত গজিয়েছে হাতে
আর চুলে গজিয়ছে রাত.....

ঠিকরে ওঠা মেয়েটির নামতা শেখা চোখে
এই রকম একটা কিছু টের পাই

আবার

যাদুকরের সফেদ হাড় থেকে যখন
কঙ্কাবতী চাঁদ জোসনায় থৈ থৈ করে
মনে হয় মেয়েটি পূর্ণিমার কোলে
ছড়িয়ে দিচ্ছে ইলিশের খোসার পাঠ,
মেয়েটি যখন নরম হাসি হাসে
ঠিক এই রকম মনে হয়।

লেখাঃ ২৭/১২/২০১৬


মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭

কি সুন্দর দুঃখমুখর হই



কি সুন্দর দুঃখমুখর হই

দ্বীপ সরকার

কি সুন্দর দুঃখ মুখর হই আমি-
যখন ভুলে যেতে থাকে কেউ,
তেমন দায় নেই প্রেমিকার-জেনে গেছি
ময়ূরদের পেখম মেলা দেখে,
কারন হিসেবে জানলাম ময়ূরেরা নাকি
আমার কাব্যের ছন্দ হতে চেয়েছিলো-
মুক্তিযুদ্ধের সা রে গা মা পা;
ও ময়ূর আমার ধূসর প্রেমিকার উপমা।


কি সুন্দর দুঃখ মুখর হই আমি-
যখন দূরে যেতে যেতে কেউ থাকেনা,
অস্তিত্বের মিছিল ছিন্ন হলে
ছাইদানিতে নিজেকে উড়িয়ে দেই,
শক্ত ধনুক ধরে আত্ননির্ভরশীল হই।

লেখাঃ ২০/০১/১৭ইং

দ্বীপ সরকার
গয়নাকুড়ি,শাজাহানপুর
বগুড়া।
০১৭১৯৭৫১৭৯২



আমার মৃত্যুরা অন্যরকম


আমার মৃত্যুরা অন্য রকম....

ক্ষত থেকে ক্যান্সার না হয়ে
হয় কবিতার পান্ডলিপি,
হয় শীতকালীন এ্যলোভেরার ঘ্রাণ,
ওরা যখনই এসে ঘারে বসে
প্রশ্ন তোলে ঈশ্বরের,
তখন আমার চোখে জন্ম নেয় আয়নার বীজ;
সে আয়নায় আমার মৃত্যুরা ভাসে আর ভাসে।

আমার মৃত্যুরা অন্য রকম....

শকুনের পায়ে যখন কিংবদন্তির মহাকাশ
জড়োসড়ো হয়ে আসে
তখন মনে হয় আমি মৃত মানুষ
অথবা মৃত মানুষের মতই ;
তাই মৃত্যুকে এঁটে রাখি নিঃশ্বাসের কূলুপে।

লেখাঃ ১১।০১।১৭ইং



গ্ল্যামার



গ্ল্যামার
~
দ্বীপ সরকার
~
চোখে চোখে রেখে নদী হয় অরণ্য
অরণ্যের সাপ হয় জলপ্রপাত
তিলক পড়া ঘুঙৃরের নিচে ফুলটা কি বন্য?
বুকের নিচে আমার কি যে অপঘাত।
~
কিঞ্চিত অবশিষ্ট থেকে ডুবে যায় সন্ধ্যা
তখন কে যেনো ডেকে যায় পূবালীতে
এক নারী ; গুনিয়াকুড়ি গ্রামের বন্ধ্যা
আনচান করে মন, পুড়ে খই হই বালিতে।
~
শরৎ গেলে সটান রৌদ্রের দুপুরে এসে
জলময় ঘাসগুলো চিৎ হওয়া বউ আমার
কার ঠোঁটে মিশে গেলো ভালোবেসে
ধূসর দুপুরের উঠোনে এসে দেখি- 'গ্ল্যামার,।
~
লেখাঃ ৪/৩/১৭ইং